শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

Homeopathic treatment by the Symptoms of dream

 হোমিওপ্যাথিক চিকিতসায় অসফলতার কারণ অনুসন্ধান


গাজী সাইফুল ইসলাম

বর্তমানে বিশ্ব জুড়েই হোমিওপ্যাথির সাফল্য, প্রচার প্রসার প্রচুর। অন্যান্য অনেক বিষয়ের মতো এক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সফলতার হার খুবই নিম্নে। বর্তমানে বাংলাদেশের এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা পুরো সার্টিফিকেটমুখী। বলতে চাচ্ছি এর পঠন-পাঠন ওই অর্থে ওই রকম চিকিৎসক গড়নে তেমন ভূমিকা রাখছে না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় শারীরিক লক্ষণের চেয়ে মানসিক লক্ষণের ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের বিশ্বখ্যাত গ্রিক চিকিৎসক জর্জ ভিতলকাস, ভারতীয় চিকিৎসক প্রশান্ত ব্যানার্জি রাজেন শঙ্কর-এর মত চিকিৎসকগণ এই মত অনুসরণ করে অর্থাৎ মানসিক লক্ষণের ওপর জোর দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছেন। রাজেন শঙ্কর রোগী যে স্বপ্ন দেখে তার ভিত্তিতে চিকিৎসা দিয়ে তাঁর খ্যাতির মুকুটে আরও কিছু বেশি পালক যোগ করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের নতুন চিকিৎসকগণ মানসিক শিক্ষা পাঠটা নিতেই পারেন না-ওই রকম শিক্ষকের অভাবে, হোমিওপ্যাথিক হাপাতাল না থাকার কারণে, ওই রকম দক্ষ চিকিৎসক বা শিক্ষকের অধীনে ইন্টার্নি করার সুযোগ না থাকার কারণে।

হ্যানিম্যানের সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত, এই ২২০ বছরে রোগীদের মানসিক অবস্থায় অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। দেশ ভৌগলিক অবস্থান ভেদে ২২০ বছর আগের মানুষ শারীরিক মানসিকভাবে যে সমস্ত কারণে অুসুস্থ হতেন বর্তমানে সেই সমস্ত কারণও অনেকাংশে বদলেছে। মুক্ত উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে শাসক-শাসিতের মনোজগত আর অনুন্নত দেশগুলোর দুবৃত্ত কবলিত অর্থ-রাজনীতির নাকপাশে বন্দি মানুষের মনোজগত একইরকম নয়। শারীরিক পরিশ্রমের ধরন, বাসস্থান, পানি-খাদ্য-ওষুধ, যৌনতার ধরন একই রকম নয়। ফলে ওষুধ নির্বাচন দেশাচার ভেদে চিকিৎসকের দক্ষতা ওইরকম উন্নত স্তরে উন্নীত না হলে তাদের উপযুক্ত চিকিৎসাও সম্ভব নয়। ফলে দেখা যায়, হোমিওপ্যাথিক ডিসপেনসারিগুলোতে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে-রোগের নাম অনুসরণ করে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মতো। এখন জীবনে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষ, নানাবিধ দ্বন্দ্ব সংঘাত, যুদ্ধ, পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের বিস্তার, মিডিয়ার প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের মনোজগতে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে ২২০ বছর আগে থেকে বর্তমানের মানুষ অনেক বেশি জটিল, কুটিল এবং একইসঙ্গে কুসংস্কারমুক্ত। আবেগিক পরিবর্তনও সাধিত হয়েছে ব্যাপক। ফলে চিকিৎসকের সামনে থেকেও একজন রোগীর মানসিক অবস্থান থাকে অনেক দূরে। সে নিজেকে কিছুতেই পূর্ণভাবে চিকিৎসকের সামনে মেলে ধরে না। অবস্থায় রোগীর মানসিক দ্বৈততার কারণে অনেক চেষ্টা করেও এক বসায় চিকিৎসকগণ রোগীর মনের নাগাল পান না, লক্ষণাবলী তো পরের কথা। আমি এও দেখেছি, রোগীরা সবকথা বলতে চায় না। কর্মব্যস্ততা দেখায়। বলে, অতকিছু বলতে পারব না-যা বলছি তাতেই চলবে, ওষুধ দেন চলে যাই। জন্য মনে হয়, দূর ভবিষ্যতে মানুষের কর্মব্যস্ততা জীবনাচার যখন আরও বদলে যাবে-চিকিৎসক শুধু হাঁতরে বেড়াবেন অকূল পাথারে আর আন্দাজের ওপর ছুঁড়ে দেবেন। 
এই সময়ের একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে-পরিবর্তিত পৃথিবীর পরিবর্তিত বাস্তবতায় মানুষের মনের যে পরিবর্তন ঘটছে আমরা সেটা সঠিকভাবে ধরতে না পারলে শুধু শারীরিক লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের মতো ওষুধ দিয়ে মানুষের জটিল রোগ দূর করব কীভাবে? ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কিংবা তাঁর বিশ্বখ্যাত অনুসারীরা যেভাবে রোগীর মানসিক লক্ষণাবলী সংগ্রহ করেছেন-ওইরকম মনোনিবেশ ছাড়া তা কি সম্ভব?
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে যে প্রক্রিয়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক তৈরি হচ্ছেন-তাতে তাদের রোগীর লক্ষণ উদ্ধারের যোগ্যতা অর্জিত হচ্ছে কিনা প্রশ্নাধীন। যদিও বা কেউ এমন যোগ্যতার ছিটেফোঁটা অর্জন করছেন তা একান্তই ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সাধনার কারণে-শিক্ষক বা শিক্ষালয়ের ভূমিকা ক্ষেত্রে খুবই নগণ্য।
প্রসঙ্গত ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশ্বখ্যাত ভারতীয় ডা. প্রশান্ত ব্যানার্জির (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাই ডা. ঈশানচন্দ্রের পুত্র) স্বপ্নকে লক্ষণ হিসেবে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে অর্জিত সফলতা অর্জনের একটি গল্প আমরা এখানে তুলে ধরব। তার গল্পটি তাঁর ভাষাতেই শুনুন:‘‘স্মরণাতীতকাল থেকে মানুষ স্বপ্নের অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।... স্বপ্নের মধ্য দিয়ে মানুষের ভবিষ্যতের বিষয়াবলী রূপকের আকারে পরিষ্ফুট হয়, যা সহজে বোধগম্য/ অনুমেয় নয়। সমাজে বসবাসরত মানুষের কিছু অভ্যেস, আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছে সামাজিক বাধার কারণে অপূর্ণ/চাপা থেকে যায়... যখন মানুষ ঘুমায়, চেতন মন চাপা পড়ে। তখন চাপাপড়া অথবা অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা আবেগ অবচেতন মনে নিজেদের জাগিয়ে তোলে। এটাই সম্ভবত স্বপ্নের কারণ। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের রোগীর স্বপ্ন স্টাডি করতে হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে। সাধারণ শারীরিক-মানসিক লক্ষণাবলি অবশ্যই ওষুধ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কখনো কখনো রোগীর স্বপ্ন অপর সকল লক্ষণকে ছাপিয়ে ওষুধ নির্বাচনে সাহায্য করতে পারে-এমনই একটি গল্প আজ আমি আপনাদের বলব।
 ১৯৬১ সালে আমার এক বন্ধু এলো আমার কাছে চিকিৎসা নিতে। তার বদহজম আর অগ্নিমান্দের সমস্যা। অ্যালোপ্যাথি হোমিওপ্যাথির বিখ্যাত চিকিৎসকদের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরে সে চিকিৎসা নিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তার প্রধান সমস্যা ছিল কোনো স্টার্চি খাদ্য একেবারে সহ্য হত না। প্রতিদিন বিকেলেই টক গন্ধযুক্ত ঢেঁকুর উঠত। ফলশ্রুতিতে পেটে প্রচুর বায়ু সৃষ্টি হত। বিশেষ করে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। গরম চা, কফি আর মিষ্টি ছিল তার খুব প্রিয়। চিকিৎসকের বারণ সত্ত্বেও প্রচুর মিষ্টি খেত, এতে পেটের সার্বিক লক্ষণের শুধু অবনতিই ঘটত। তার বর্ণনা শুনে আমি খুব খুশি, লাইকোপডিয়ামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বলে। বন্ধুটি বলল, ‘‘লাইকোপডিয়াম আর কার্বো ভেজ আমি বিভিন্ন শক্তিতে বহুদিন খেয়েছি। কোনো কাজ হয়নি।’’
তার কথায় কান না দিয়ে আবারও তাকে লাইকোপডিয়ামের বিভিন্ন পটেন্সি 200 থেকে 10M পর্যন্ত খেতে দিলাম। কিন্তু এতে কাজ তো হলেই না-বরং ভয়ানক বৃদ্ধি ঘটল।
এরপর একদিন সকালে যখন আমি তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, এক পর্যায়ে সে আমাকে বলল, ‘‘গত দুবছর ধরে একটি অদ্ভুত লক্ষণ আমাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। স্বপ্নে আমি আমার প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রবল ঝগড়ায় লিপ্ত হই। কখনো এমন ঝগড়া বন্ধুর সঙ্গেও হয়।’’ তখন আমার মনে হলো, বিশেষ এই লক্ষণটি কোনো একটি বিশেষ ওষুধ নির্বাচনে নিশ্চয়ই কাজে লাগবে। আমি একটি রেপার্টরিতে চোখ বুলাতে চাইলাম। কিন্তু আমার কাছে তখন ডা. রবার্ট ফকনারের একটিই রেপার্টরি ছিল। তাতে পেলাম ‘dreams of quarrel’ এর জন্য একটিই মাত্র ওষুধ: নাক্স ভম। ৩০, ২০০ শক্তিতে দিলাম কাজ হলো না। পনেরো কী বিশ দিন পরে ওষুধটির 1M এর একটি ডোজ প্রয়োগ করলাম। উপসর্গের কিছুটা বৃদ্ধি ঘটল এবং তা দিন স্থায়ী হলো। কিন্তু তৃতীয় দিন সকল উপসর্গ দূর হয়ে গেল।’’
  প্রসঙ্গত আমি ডা. রবার্ট গিবসন মিলারের একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরব। তিনি লিখেছেন: রোগীর ঘুম আর স্বপ্নের মধ্যকার বিষয়াগুলোকে সাধারণ লক্ষণ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে।... স্বপ্নের বিশ্লেষণ কখনো কখনো ওষুধ নির্বাচনের গোপন চাবি হতে পারে।’’
এবার আমি আমার নিজের অভিজ্ঞা থেকে একটি মানসিক লক্ষণএর রোগীর উদাহরণ দিচ্ছি। যা থেকে মানসিক লক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করা অনেক সহজ হবে।
২২ বছরের মেয়ে বিলকিস, আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে ১৭ মে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে। পেশায় গার্মেন্টস কর্মী।
শারীরিক বৈশিষ্ট্য ধাতুগত লক্ষণ: মোটা, পেটা পূর্ণ শরীর, কিছুটা খাটো। বেশ সুন্দরী। ভরা চেপ্টা গড়নের মলিন মুখ। শারীরিক মানসিক পরিশ্রম পীড়নে দেহ-মনে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।
শারীরিক সমস্যা: ১। মাসিকের সময় তলপেটে হালকা ব্যথা থাকে। আর মাসিক শেষ হওয়ার চার-পাঁচ দিন পর শুরু হয় সাদাস্রাব। স্রাবের রঙ পুরো সাদা। সাদাস্রাব চলাকালে তলপেটে যে ব্যথা হয় এর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়। চুলকানিও থাকে। ব্যথার ধরন: কামড়ানি।
২। মাথা সবসময় গরম থাকে। হাত-পায়ের তালুতে জ্বলুনি থাকে। গরমে সকল সমস্যা বাড়ে। শীত আর শীতকাল তার ভাল লাগে।
৩। ব্লাডপ্রেশার মাপা হলো: ৮০/১১০।
মানসিক লক্ষণ: ১। অস্থিরচিত্ত, কিংকর্তব্যবিমূঢ়। চাকরি ভাল লাগে না। সংসার করার অদম্য ইচ্ছে। কিন্তু বয়সেই দুবার সংসারে প্রবেশ করেছে। কিন্তু বরাবরই ভুল মানুষের সঙ্গে। প্রথম বিয়ে কম বয়সে বাবা-মায়ের আগে থেকে পছন্দ করা ছেলের সঙ্গে। ওই বিয়ে ভেঙে যায় সংসার শব্দের অর্থ বোঝার আগেই। দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নিজের পছন্দে। গার্মেন্টেসে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকা একটা লোককে সে পছন্দ করে। ভালবাসে। কিন্তু ওই লোকটি পূর্বেই বিবাহিত হওয়ায়-কিছুদিন সঙ্গ দিয়ে পালায়। এভাবেই  তার কষ্ট দীর্ঘায়িত হয়। এখন তার শুধু মনে হয়, সে সংসারের উপযোগী নয়। কাজেই বেঁচে থেকে কী লাভ। ‘‘আমার মরাই উচিত।’’ এভাবে মরণ চিন্তা সবসময় তার পিছু লেগে থাকে।
২। মাঝেমধ্যে তার মনে হয়-‘‘আমি পাগল হয়ে যাব।’’
ওষুধ সাজেশন: মেয়েটির বেশিরভাগ লক্ষণ নাক্স, সালফার, ইগ্নেসিয়াতে আছে। কাজেই প্রথমেই আমি তাকে নাক্স-৩০ সালফার-৩০ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে সালফার আর রাতে নাক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ১৫ দিন পরে দেখা করতে বললাম।
ফলোআপ: ১৩ জুন ২০১৪ তারিখে বিলকিস পুনরায় আসে। আগের ওষুধে বেশ উপকৃত হয়েছে। অস্থিরতা কমেছে, ঘুম বেড়েছে। শরীরে শান্তি এসেছে। হাত-পায়ের জ্বালাও কমেছে।
কিন্তু নতুন সমস্যা যুক্ত হয়েছে। ডানপাশের কোমর পেছন থেকে ডান তলপেটে প্রবল ব্যথা। বোঝা যাচ্ছিল পূর্বের সমস্যার সঙ্গে গাস্ট্রিকের ব্যথা যুক্ত হয়েছে। পালস-৩০, সিপি-২০০ এর সঙ্গে বায়োক্যামিক ফেরম ফস-6x ক্যালি ফস-6x নট্রাম ফস-12x পিল ব্যবস্থা দেয়া হল। প্রথমে পালস সকাল-সন্ধ্যা, আগে-পরে বায়োক্যামিক ++ পিল এবং পালস শেষ হলে সিপি ২০০ সঙ্গে একই নিয়মে বায়োক্যামিক চালানোর নির্দেশ দেয়া হলো।
একমাস পরে রোগী বেশ সুস্থ। তার শারীরিক সমস্যার সঙ্গে মানসিক সমস্যারও আশাতীত উন্নতি হয়েছে। পরবর্তী ৭দিনের জন্য প্লাসিবো ব্যবস্থা দেয়া হলো। মানসিক লক্ষণ আশাতীত উন্নতি হয়েছে। ‘‘আত্মহত্যার চিন্তাটা মাথা থেকে সরে গেছ।’’ কিন্তু মন খারাপ ভাবটা কিছু রয়েই গেছে।
এখানে বলা আবশ্যক যে, বাংলাদেশের আর্ত সামাজিক বাস্তবতায় এই বয়সের পূর্ণ যৌবনবতি একটি যা চায় তাহলো স্বামী-সন্তানসহ সুখের সংসার। তার চারপাশে সে এমনটি দেখেই অভ্যস্ত। কাজেই তার প্রয়োজন কিছু কাউসিলিং। মানে জীবন সম্পর্কিত পরামর্শ। একটি সফল বিয়ের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া তার উপায় নেই- বিষয়টা তাকে বুঝিয়ে বলা হলো। আরও সান্ত্বনামূলক কিছু কথা বলা হলো-এতে সে অনেকক্ষণ ধরে কাঁদল।
কয়েক ডোজ ইগ্নেসিয়া ২০০ ব্যবস্থা দেয়া হলো। এরপর বিলকিস আর এলো না।


 গাজী সাইফুল ইসলাম: লেখক, অনুবাদ
হোমিওপ্যাথির গবেষক
                                                        gazisaiful@gmail.com

                                                  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন