মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

What Do Night Sweats Indicate

What Do Night Sweats Indicate?

If you find yourself suffering from menopausal night sweats, or night sweats in general, it is worth being proactive and finding out more about the symptoms and causes. Almost all women will suffer from night sweats due to menopause, and the experience can be unsettling if you are unprepared. Rest assured, you are not alone in dealing with night sweats, there is a wealth of information out there that can help you overcome even the most irksome of symptoms. Read on for a full information about what night sweats indicate.
What Are Night Sweats?
Night sweats refer to a problem known clinically assleep hyperhydrosis. Night sweats describe episodes of excessive sweating during the night which happen as you sleep. While sweating is a perfectly healthy bodily function needed to keep cool and fresh, night sweats are uncomfortable because they disturb sleep patterns and often wake up sufferers, who find they are shivering due to wet sleepwear and bed linen. In order to deal with some of the symptoms of night sweats it's important to understand what they indicate.
What Causes Night Sweats?
While some women embrace menopause, there are others who lament this natural passing of their menstrual cycle and the subsequent biological changes associated with it. During menopause, the body's endocrine system and hormonal balance go through pretty dramatic shifts.
Menopausal night sweats indicate that a woman is experiencing a decline in estrogen levels, and as a response, the hypothalamus gets confused and incorrectly senses that the body is overheating. The excess heat produced causes the sensation of night flashes.
What Can Be Done about Night Sweats?
Quick Fact: Research suggests consuming soy might provide some relief for night flashes and other symptoms of menopause.
Your night sweats are nothing to be concerned about, but it is still useful to have some information on how best to deal with them. Sometimes a simple change in habits or lifestyle can provide significant relief. Having established that night sweats are linked to a drop in estrogen hormones in the body, the biggest practical step in dealing with them is through maintaining a healthy diet and exercise routine. 
The body needs to be healthy in order to have the best chance of maintaining stable hormonal levels. Being above your weight target is more likely to increase the incidence of night sweats, so staying in a healthy range is an important factor. In addition to lifestyle changes, there are a range of pharmaceutical remedies and alternative medicines that can help reduce night sweats and will often target the issue of hormonal imbalance.
Treatments for Night Sweats
Although simple lifestyle changes as a treatment for night sweats are always recommended, many women find that these alone are not enough to prevent night sweats. There are other treatments for menopause available such as natural supplements, medications and surgery. Click here to read more about the differenttreatments for night sweats.
5 Homeopathic Remedies for Night Sweats
What are some of the best homeopathic remedies for night sweats? Below is a short list of the most talked about natural solutions for one of the most troublesome symptoms of menopause. If you've had it with waking up in the middle of the night drenched in sweat, try one of these treatments that can help reduce the frequency and severity of your night sweats.
Black cohosh
Among all of the natural herbs you can take for menopause symptoms, black cohosh is one of the most common and is highly recommended. Closely related to the buttercup, this herb has been known to cease hot flashes, night sweats, and other menopausal symptoms. Be careful when using this herb, as it has been reported to cause headaches and nausea and even a rapid growth of breast tissue.
Ginseng
Ginseng is another popular herbal remedy used for alleviating menopausal symptoms, especially night sweats. It's best to take this herb in small doses because it can to decrease the amount of natural estrogen the body produces. Also, Ginseng has been shown to have side effects like insomnia, nausea, diarrhea, and headaches.
Flaxseed
Flaxseed is rich in omega-3 fatty acids, lignans, and fiber. Also, it may help moderate hot flashes and night sweats. You can easily add a tablespoon or two to your cereal, yogurt, smoothies, and include it in baked goods. There are no known side effects from flaxseed.
Vitamin E
Vitamin E is used for carry out many important functions. The best way to get vitamin E is by eating foods such as vegetable oils, and nuts. When taken for several consecutive weeks, this essential vitamin may help reduce night sweats. Consult your doctor before beginning a vitamin E regimen. Vitamin E in conjunction with certain medications can yield side effects.
Evening primrose oil
Evening primrose oil is another great source of important omega-3 fatty acids. A lot of women take evening primrose in a capsule form to help manage their night sweats. While this is not effective for all women, it's worth trying if other herbs and methods do not work for you.
More about Homeopathic Remedies for Night Sweats
It has been proven that simple breathing techniques can help you cope with night sweats. According to the National Institutes of Health, pacing your breathing into a slow and relaxing pattern can reduce the frequency of night sweats. Try this method after waking up in a cold sweat, and it can help you drift back into a peaceful slumber.
Collected from Net


রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

Problem : Excessive Bleeding of Uterus

হোমিওপ্যাথিক কেসস্টাডি
জরায়ুর অতিরিক্ত রক্তস্রাব প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে
গাজী সাইফুল ইসলাম
প্রতিমাসে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জরায়ুর অভ্যন্তরীন দেয়াল থেকে যে রক্তক্ষরণ হয় এবং নির্দষ্ট সময় ধরে চলে তাকে মাসিক বা পিরিয়ড বলেমাসিক শব্দটি উৎপত্তি মূলত লাতিন শব্দ menses থেকে যার অর্থ months. আর menstruation শব্দটি উৎপত্তি মূলত পুরনো ফ্রেন্স শব্দ menstrual থেকে যার অর্থ monthly. কতকগুলো শারীরিক-মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি মেয়ে কিশোরী থেকে নারীতে পরিণত হয়মাসিকই হলো তার যৌবনারম্ভের প্রধান ধাপকতকগুলো সিরিজ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই চক্রটি সমাপ্ত হয় এবং নারীর শরীর প্রজননের জন্য প্রস্তুত হয়প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ক্ষেত্রে এই নিয়ম স্বাভাবিক ব্যতিক্রম যেমন অসময়ে মাসিক হওয়া এবং পরিমাণে কম বেশি হওয়া, স্রাবে গন্ধ ও চুলকানি ইত্যাদি হলেই জরায়ুর অসুস্থতা ধরে নিতে হবেসাধারণত ৮ থেকে ১৬ বছর (মতান্তরে ১১ থেকে ১৪) বয়সে মাসিক শুরু হয়ে ৪৫-৫৫ বছর (মতান্তরে ৩৯ থেকে ৫১) বয়সে শেষ হয়-যাকে বলা হয় মেনোপজসাধারণত মেনোপজের কাছাকাছি সময়ে মাসিক দীর্ঘদিন ধরে চলে এরপর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়তলপেটে ব্যথাসহ অতিরিক্ত রক্তস্রাব হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিতএক মাসিক থেকে আরেক মাসিকের সময়কাল ২৮ দিনব্যতিক্রম ২৪ থেকে ৩৫ এর মধ্যে যে কোনো সংখ্যক দিন হতে পারেদিনের সংখ্যা যাই হোক যদি প্রতিবারের শুরু ও শেষ নির্দিষ্ট তারিখমতো হয় এবং পরিমাণ ঠিক থাকে তাহলেই তাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ মাসিক বলা যাবেমাসিক সাধারণত তিন থেকে পাঁচদিন ধরে চলে এর মধ্যে রক্তস্রাব হয় প্রথম দুই থেকে তিনদিনতিনদিনে স্বাভাবিক ক্ষেত্রে চা চামচে ৫-১২ চামচ রক্তপাত হয়ব্যতিক্রম কিংবা অসুস্থতার ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারেপরিমাণের চেয়ে বেশি রক্তস্রাবকে বলে মেনোরেজিয়া (menorrhagia-excessive menstrual flow and duration)|

উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মানুষ ছাড়াও স্ত্রী প্রজাতির কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী (female mammals) যেমন উল্লুক, লেমুর, বানর ইত্যাদির যতদিন প্রজনন বয়স থাকে ততদিন মাসিক হয়সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্টেট্রিকস ও গাইনেকোলজির অধ্যাপক পাওলা হিলারড এম.ডি. মহিলাদের মাসিক সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন: ‘‘নারীর ঋতুচক্র শুধু প্রজননের জন্যই প্রয়োজনীয় নয়-এটি তাদের সাধারণ স্বাস্থ্যস্বচ্ছন্দের জানালা বিশেষ’’

প্রজনন বয়সে প্রতিটি নারীর মাসিকের সময় এস্ট্রোজেন (estrogen) ও প্রোজেস্টেরন (progesterone) হরমোন জরায়ুর পরিবর্তনে বিরাট ভূমিকা রাখেহাইপোথ্যালামাস ও পিটুট্যারি গ্ল্যান্ড থেকে মস্তিষ্কে এস্ট্রোজেন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়মস্তিষ্ক তখন প্রয়োজনীয় সংকেত পাঠিয়ে তার ডিম্বাশয়কে উদ্দীপিত করেএতে মহিলার ডিম্বাশয়ের ফলিকলে (খুদে থলি) নতুন নতুন ডিম্বানুর জন্ম হয়ে পরিপক্ক হয়একইসময় সময় তার রক্তে এস্ট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়রক্তের বর্দ্ধিত এস্ট্রোজেন জরায়ুর দেয়ালের (lining) পুরুত্ব বাড়িয়ে পরিপক্ক ডিম্বানুদের গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করে

ডিম্বাশয়ের ডিম্বানু নিঃসরণের কয়েকদিনের মধ্যে যৌন মিলন ঘটালে ফেলোপিয়ান টিউবে স্পার্মের সংস্পর্শ দ্বারা ডিমটি উর্বরাপ্রাপ্ত হয়অর্থাৎ মহিলা প্রেগনেন্ট হয়যদি ডিমটি উর্বরতাপ্রাপ্ত না হয়-তাহলে তার এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরণ হরমোনের স্তর নিচে নেমে যায়এ অবস্থায় এস্ট্রাজেনের উপস্থিতে এক ফোঁটা প্রোজেস্টেরণ জরায়ু দেয়ালে ফাঁটল ধরায় আর নতুন করে ব্লিডিং শুরু হয়
মাসিক সম্পর্কিত উপর্যুক্ত আলোচনা কোনো বিশেষজ্ঞ আলোচনা নয়আগ্রহীদের প্রাথমিক ধারণা দেয়ার জন্যই অবতাড়না করা হলো
বাইরেও কখনো কখনো বড় ধরনের¯^vfvweK ঘটনা ঘটেওই সব ঘটনার মধ্যে জরায়ুর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ- (Massive or excessive Bleeding of Uterus) একটি অন্যতম ঘটনা-যাকে বলা হয় মেটোরেজিয়া (Metoreghia­-irregular, excessive flow and duration), যা আসলে মেনোরেজিয়ার চেয়ে বেশি কিছুকোনো কোনো চিকিৎসক এটাকে বলেছেন কলসি কলসি রক্তের ক্ষরণকোনে কোনো অঞ্চলে এই রোগকে বলে রক্তউতাল বা রক্তওঠাসত্য বলতে নারীর জীবনে এ এক বড় রকমের বিপর্যয়যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে-ভয়াবহ রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং এতে রোগীনীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারেএই রোগে কখনো কখনো এত রক্তপাত হয় যে, রোগীনী যেখানে বসে সেখানকার জায়গা রক্তে ঢেকে যায়বাধ্য হয়ে রোগীনী অনেক কাপড় অথবা কাঁথা নিচে দিয়ে বসেসাধারণত বিবাহিত ও সন্তানের মা হয়েছেন এমন মহিলাদের ক্ষেত্রেই এ রোগটি বেশি দেখা যায়এই ধরনের রক্তস্রাবে কখনো কখনো ব্যথা জ্বালা-যন্ত্রণা থাকে কখনো থাকে নাসিস্ট, ক্যান্সারেটিভ টিউমার, আঘাত ও আঘাতজনিত ক্ষত, ক্যান্সার, জরাযুর বৃদ্ধি অথবা অন্য কোনো প্রদাহের কারণে এমন রক্তক্ষরণ ঘটতে পারেএই রক্তস্রাবে রক্ত উজ্জ্বল লাল হওয়ার চেয়ে কালছে, ছোপ ছোপ জমাট বাধা ধরনেরই বেশি হয়থেকে থেকে দমকা ঢেউয়ের মতো এক সঙ্গে অনেক রক্ত বেরিয়ে আসেফলে শারীরিকের চেয়ে রোগী এবং রোগীর স্বজন মানসিকভাবে বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন

আমি আজকে এখানে আঘাত বা আঘাতজনিত ক্ষতের কারণে জরায়ুর অতিরিক্ত রক্তস্রাব সংক্রান্ত একটি কেসস্টাডি তুলে ধরবপ্রথমেই প্রশ্ন আসে জরায়ু আঘাত প্রাপ্ত হয় কীভাবে
অল্প বয়সে ধর্ষিত হলে
পতিতালয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে নেশাগ্রস্থ  কিংবা অমার্জিত পুরুষের সঙ্গে বারবার মিলিত হলে
অল্প বয়স থেকে শুরু করে বারবার সন্তানের মা হলে
প্রসব প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যসম্মত না হলে
সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত ভার উত্তোলন করলে
বার বার এম.আর. করলে এবং এম. আর. এর পর সময় না দিয়ে যৌনমিলন ঘটালে
চিকিৎসা: সকল প্যাথিতেই এই রোগের কমবেশি চিকিৎসা আছেএকজন আধুনিক মননশীল মানুষ হিসেবে আমি হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলোর প্রতি পূর্ণ আস্থাশীলপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত বলে এগুলো খুবই রোগীবান্ধবরোগী কঠিন পীড়া থেকে মুক্তি পায় কিন্তু প্রক্রিয়াটি সে জানতে পারে নাটেরও পায় না কখন সে আরোগ্য হয়ে গেছে
বারবার মা হওয়া মহিলাদের সাধারণ রক্তস্রাবও কখনো কখনো দীর্ঘদিন ধরে চলে যদি প্রসবকরণ প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যসম্মত না হয়মাসের পর মাস রক্তস্রাব চলতে থাকেএম.আর.এর কারণেও এমনটি হয়এরকম চুয়ানো মাসিকের কারণে কারণে স্যাভাইনা ওষুধটি কয়েক ডোজেই রোগীকে দুশ্চিন্তামুক্ত করতে পারেডা. বোরিক বলেছেন এ সময় রোগীনীর ব্যাথা থাকেআমি দেখেছি ব্যথা না থাকলেও স্যাভাইনা কাজ করেএমনকি রক্তের পরিমাণ বেশি হলেও যদি রক্তের রঙ উজ্জ্বল লাল হয়আধাতরল বা আধা জমাটবাধা হয় এবং বেদনা জরায়ু থেকে উরু পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়
আবার একেবারেই বেদনা থাকে না কিন্তু অন্যান্য লক্ষণ কাছাকাছি হলে মিলিফোলিয়ম দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়কিন্তু আঘাত লাগার মতো বেদনা, টাটানি এবং রক্তের রঙ ঘনকাল ছোপ ছোপ হলে দিতে হয় হ্যামামেলিসপ্রসবান্তে, গর্ভস্রাবের পর দিতে হয় সিকেরি করপ্রচণ্ড ব্যথাযুক্ত জমাট বাধা রক্তস্রাবের জন্য দিতে হয়-ক্যামোমিলাপ্রচুর রক্তক্ষরণ, রং উজ্জ্বল কিন্তু ব্যথা বেদনা নেই-দেয়া চলে ইপিকাককলসি কলসি রক্তক্ষরণে রক্তের রঙ কালো আর চাকা চাকা হলে দিতে হয় থ্‌ল্যাস্পি বোর্সা (Thlaspi Bursa)|
একটি কেসস্টাডি: আজ আমি এখানে Thlaspi Bursa ওষুধটির একটি কেসস্টাডি আলোচনা করবরোগীনী ও তার স্বামীর দেয়া বর্ণনা আমি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছি
এক সন্তানের জননী রুবিনা খানম স্বামী ও একমাত্র সন্তান নিয়ে থাকতেন কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাসায়বয়স ২৮হঠাৎ এক সকালে বিনা নোটিসে কোনো প্রকার ব্যথা-যন্ত্রণা ছাড়াই শুরু হয় তার রক্তস্রাবপ্রতিবার দমকা ঢেউয়ের মতো রক্তের পরিমাণ বাড়ছেছুটির দিন বিধায় স্বামীও বাসায়জানালেন স্বামীকে তখনো সকালের রান্না চলছিলমহিলা কোনোরকমে রান্না শেষ করে খাবার ঘরে আসেনস্বামীকে খেতে দিয়ে নিজেও বসেছেনকিন্তু তিনি বসেছেন একটু দূরে  ফ্লোরের ওপর-যাতে তার অসুস্থতার কারণে স্বামীর খাওয়ায় ব্যাঘাত না ঘটেখাওয়া চলছে আর মহিলা বঝুতে পারছেন তার নিচের ফ্লোর ভিজে যাচ্ছেখাওয়া বন্ধ করে দাঁড়িয়ে দেখলেন নিচের ফ্লোর সবটা রক্তে লালতার মনে হচ্ছিল ওপর থেকে কলসি কলসি রক্ত নেমে আসছেস্বামীকে ডাকলেনঅবস্থা দেখে তিনিও ভয়ানক ঘাবেও গেলেনতার মনে হচ্ছিল ছাগল-গরু জবাই করলেই কেবল এমন রক্তস্রাব হওয়া সম্ভবভাবছিলেন কোথায় যাবেন এ রোগী নিয়েহাসপাতালেই বা কীভাবে যাবেনরক্তশূন্য হয়ে তো পথেই মারা যাবেঠিক ওই মুহূর্তেই কেউ একজন দরজায় কড়া নাড়েখুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিকীভাবে দরজা খুলবেনইঙ্গিত করলেন স্বামীকে কতকগুলো কাঁথা-কাপড় এনে দিতে যাতে রক্ত চাপা দেয়া যায়কাঁথা-কাপড় দিয়ে স্বামী চলে গেলেন দরজা খুলতেস্ত্রী কোনোরকমে রক্ত মুছে বাথ রুমে চলে গেলেনপত্রিকাওয়ালা পত্রিকার বিল দিয়ে গেলহাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্বামী , ‘‘লোকটা তাহলে মেহমান নয়!’’
তারা যখন উপর্যুক্ত বর্ণনা দিচ্ছিলেন তাদের খুব বিমর্ষ লাগছিলএকজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের ওপর আস্থা রাখা যায় কিনা এ কথাও তাদের মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছিল
যাহোক, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেল, কদিন আগে তারা এম.আর. করিয়েছিলেনতখনো দুসপ্তাহ হয়নিরাতে যৌনমিলন করেছেনদিনে আরও কবার করেছেনস্বামী বেচারা একটু বেশি...
বাড়তি কাপড়ে সুরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও ইতোমধ্যে চেম্বারেও রক্ত পড়তে শুরু করেছেএ ধরনের রক্তস্রাব ও এর ওষুধ সম্পর্কে পূর্বধারণা থাকায় এবং লক্ষণ মিলে যাওয়ায় বিলম্ব না করে Thlaspi Bursa ওষুধটা দুঘণ্টা অন্তর খাওয়ার ব্যবস্থা দেয়া হলপ্রথম দুবার আধঘণ্টা অন্তর খেতে বলা হলোপ্রথম দুবারের খাওয়ানোতেই রক্তের পরিমাণ বেশ কমে গেলমাত্র পাঁচ-ছঘণ্টার ব্যবধানে সম্পূর্ণ রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেল-যা ছিল বিস্ময়কেও হার মানানো একটি সাফল্যমনে মনে ধন্যবাদ দিই আমাদের গুরু ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এবং তাঁর ভাবশিষ্য ও অনুবাদক ডা. উইলিয়াম বোরিককে-যাঁদের আবিষ্কার ও আত্মত্যাগের কারণে এমন কঠিন রোগের চিকিৎসা এত সহজে করা সম্ভব হয়েছে।  
সকলের উপকারার্থে Thlaspi Bursa ওষুধটি সম্পর্কে কিঞ্চত ধারণা: শেফার্ডস পার্স (Shepherd's Purse) নামক তাজা গাছ থেকে টিংচার প্রস্তুত হয়রক্তপাত ও  ইউরিক সিড বিরোধী শক্তিশালী ওষুধ হিসেবে বহু প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলপরে হোমিওপ্যাথিতে যুক্ত হয়হারবাল চিকিৎসাতেও এটি খুবই বিখ্যাতহ্যানিম্যানের অনুবাদক বিখ্যাত Dr. R. E. Dudgeon  ওষুধটির ওপর প্রথম একটি আর্টিক্যাল লেখেন মাসিক হোমিওপ্যাথিক রিভিউ-এ ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দেপরে একই বছর আর্ট মেডিক্যাল জার্নালে ওষুধটির ওপর পুনারায় আলোকপাত করেন Dr. Imbert Gourbeyre|
বি.দ্র. এটি চিকিৎসা সম্পর্কিত আটিক্যাল, প্রেসক্রিপশনের বিকল্প মনে করা ঠিক হবে না

গাজী সাইফুল ইসলাম
লেখক, অনুবাদ, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও গবেষক




Cure from ekzema

হোমিওপ্যাথিক কেসস্টাডি
ব্রিবতকর একজিমা থেকে হোমিওপ্যাথিক আরোগ্য
মূল-ডা. জিরি শেওভস্কি
ভাষান্তর-গাজী সাইফুল ইসলাম
১৯৯০ সালে একটি ম্যাগাজিন হোমিওপ্যাথির ওপর আমার একটি আর্টিক্যাল ছাপেআমাদের চেকোশ্লাভাকিয়ার মানুষ তখনো এ চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলপত্রিকাটির সম্পাদক প্রথমে আমাকে তার দুবছরের কন্যার একজিমা (কাউর) ভাল করার দায়িত্ব দিলেনপ্রচলিত কোনো চিকিৎসা তাকে সুস্থ করতে পারেনিতারা এ নিয় খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেনকিন্তু আমি তাকে খুব সহজে সুস্থ করে তুলিএরপর রোগটির পুনরাক্রমণ না হওয়ায় সম্পাদকের মনে নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থাটি সম্পর্কে বেশ আস্থার সৃষ্টি হয়
এবার তিনি তার এক আত্মীয় শিশুচিকিৎসকের পাঁচ বছরের মেয়ে লেনকার চিকিৎসার ভার আমার ওপর দিলেনদক্ষিণের ছোট্ট শহর বোহেমিয়ায় তারা থাকেওই মেয়েটিও তার এক বছর বয়স থেকে কঠিন এক ধরনের একজিমায় ভোগছিল
পিতামাতা যতক্ষণ কথা বললেন মেয়েটি চুপ করে রইলতারা জানালেন, তারা তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য সম্ভব সবধরনের চিকিৎসা দিয়েছেনকিন্তু প্রচলিত চিকিৎসা তাকে সুস্থ করে তুলতে পারেনিতারা জানালেন, রোগটি শুধু মেয়েটিকে নয়-আমাদেরও নিঃশেষ করে দিয়েছেতারা বললেন, প্রথমে তার উরুতে কিছু ফসকুরি জন্মেছিলএরপর ওই ফুসকুরিগুলো ছড়াতে শুরু করেবিশেষ করে তার মাংসপেশীর ভাঁজে ভাঁজেগোসলের পর শুরু হয় চুলকানিযখন সে চুলকাতে শুরু করে রেশগুলো ত্বকের ওপর ফোঁড়ার আকার নেয়রাতে সকল উপসর্গের অবনতি ঘটেশরীর অতিরিক্ত আঁচড়ানো পর সে কাঁদতে থাকেঅবস্থার আরও অবনতি ঘটে পরদিন দুপুরের ঘুমের সময়, তখন সে গরমের কারণে সকল কাপড় ছুঁড়ে ফেলেগ্রীষ্মকালে, সূর্যের তাপে, ঘরের গরমে, K¤^‡ji নিচে তার অবস্থা খারাপতর হয়আর শারীরিক লক্ষণ দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকেপ্রচণ্ডতা বেড়ে যায়, বিশেষ করে, যখন সে রেগে যায়, কিছু চেয়ে না পায়। (রাগ, দুঃখ, শোক বা ক্রন্দনের সময়-রোগ লক্ষণ বাড়ে-ইগ্নে.)এ ছাড়াও তার ঠাণ্ডা লেগেই থাকেপ্রায়শই কফ ঝরেদীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় এখন তা হাঁপানির রূপ নিয়েছে
মেয়েটির পিতা এটা জানতেন যে, শিশুদের ক্ষেত্রে একজিমা অনেক সময় হাঁপানির কারণ হয়কখনো তা  পূর্ণ ব্রোঙ্কাল হাঁপানিতেও রূপ নয়এটা ছিল তাদের দুশ্চিন্তার অন্য আরেকটি কারণএসব কারণে মেয়েটির ভবিষ্যৎ নিয়েই তারা উদ্বিগ্ন ছিলেনসর্বোপরি হাঁপানি তার মৃত্যুরও কারণ হতে পারেঅনুসন্ধান থেকে আরও জানা যায়, স্কুলের সময়ে মেয়েটির আচরণ বেশ ¯^vfvweK থাকে, সামাজিকও সেমিষ্টি খেতে পছন্দ করে মুরগি ছাড়া সব মাংসই তার অপছন্দসামান্য আহার করে কিন্তু মাখন তার প্রিয়প্রচুর পানীয় পান করে কিন্তু সবই কোল্ড ড্রিঙ্কসগরম খাবার বা পানীয় সে খেতেই চায় নাকিছুটা লাজুক প্রকৃতির, যত বয়স হচ্ছে ভীরুতা বাড়ছে
Jiri Cehovsky
সালফার-২০০ হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি পিলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি বিশেষ নিয়মে খাওয়ানোর পরামর্শ  দেওয়া হলোশর্ত দেয়া হলো, খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে অথবা পরে ওষুধটি খেতেকফি, কাঁচা রসুন ও পিঁয়াজ না খাওয়াতেএছাড়া অন্য সকল ওষুধ বন্ধ করে দিতেএসব কঠিন নিয়ম শুনে তারা wØavwš^Z হয়ে পড়েন কিন্তু তবু মানতে রাজি হলেনজানান হল, একজিমা একটি ক্রনিক চর্ম রোগভাল হতে সময় লাগবেঅধৈর্য হলে চলবে নাতার wØavwš^Z অবস্থা দেখে, মনোবৈজ্ঞানিক সাপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হলো, যদি কখনো খুব বেড়ে যায় মলমটা লাগাবেনকিন্তু একবারের বেশি নাতারা ওষুধ নিয়ে চলে গেলেননিজে আমি রোগটা ভাল করতে পারব বলে আস্থাশীল ছিলামকিন্তু সন্দেহমুক্ত হতে পারছিলাম না
তিনমাস তাদের কোনো সংবাদ পাওয়া গেল নাএকদিন মধ্যরাতে হঠাৎ ফোন এলকিছুটা অতিশয়োক্তির মতো শোনা গেল মেয়েটির শিশুচিকিৎসক বাবার Kɯ^i| দক্ষিণ বোহেমিয়া থেকে তিনি বলছেন: আপনি যা যা বলেছেন, সব করেছিতিন মাস ধরে আমরা তাকে কোনো ওষুধ দিইনিতার বেদনা, চুলকানি অনেকাংশে চলে গেছেএখন তার ভাল ঘুম হয়, কিন্তু একজিমার তেমন কোনো পরিবর্তন  নেইগত দুদিন আগেও তার খুবই কষ্টকর কাশি হয়েছে কিন্তু সত্য হলো হাঁপানির লক্ষণটা নেইভয়ানক সর্দিটা অবশ্য আছে, সবসময় কফ ঝরেকফ সিরাপটা কি আবার দেব?
‘‘না, কোনো কিছু নাঠিক দুদিন পর ফোন দেবেন’’
কিন্তু আবার কয়েকমাস কেটে গেলতাদের কোনো খবর নেইএরপর একদিন, কোনো পূর্বজানান দেয়া ছাড়াই তারা আমার প্ল্যাটে এসে হাজির হলেনতারা খুব খুশি, আনন্দোৎফুল্ল‘‘লেনকার অনেক সমস্যা দূর হয়ে গেছেএকজিমা আছে কিন্তু আগের সেই তীব্রতা নেইঅন্যান্য জটিলতাও কম’’ ফোন করার দিন থেকে সর্দিটাও চলে গিয়েছিল এবং এরপর ধীরে ধীরে একজিমার লক্ষণগুলো দূর হয়ে যায়প্রথমে মুখ থেকে পরে শরীর থেকেসবশেষে পা থেকেমেয়েটির ¯^v‡¯’¨i উন্নতি হয়েছে, গত ছমাস আর কোনা ওষুধ (ক্যামিক্যাল) তার পেটে পড়েনিএমন কিছু মুহূর্ত আসে-যখন মানুষ ভাবে, যা কিছু ঘটেছে তারও প্রয়োজন ছিল
বছরখানেক পরে তৃতীয়বারের মতো মেয়েটির বাবা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেনলেনকা তখনো সুস্থকিন্তু মাঝে মধ্যে একজিমা ধরনের কিছু ফুসকুরি তার চোখের ভ্রু ভাঁজে দেখা দেয়এবার পূর্বোক্ত ওষুটির পরবর্তী উচ্চ শক্তি তাকে প্রদান করা হলোমাত্র এক ডোজএকটি মাত্র চিনির বড়ি
লেনকা ¯^v¯’¨eZx সুন্দরী মেয়ে হিসেবে তার স্কুলের পড়াশোনা চালাতে লাগলতার পিতার পাঠানো চিঠি অনুযায়ী, লেনকার শরীরে এখন আর একজিমার কোনো লক্ষণ দেখা যায় নাওটা ছিল অন্য আর সব চিকিৎসা থেকে আলাদা জাদুকরি এক আরোগ্যএর বেশি কিছু নাহোমিওপ্যাথিতে এমনটি সবসময়ই ঘটে থাকে-যখন হোমিওপ্যাথির নিয়ম মেনে চিকিৎসা দেয়া হয়একজিমার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ যেমন গ্রাফাইটিস, পেট্রোলিয়াম, সিপিয়া, টেলুরিয়াম (দাদ) লক্ষণানুযায়ী রোগীতে প্রযুক্ত হয়ে রোগীকে আরোগ্য দান করতে পারে


[জিরি চেহোভস্কি (Jiri Cehovsky) বিশ্বখ্যাত ক্ল্যাসিক্যাল হোমিওপ্যাথজন্ম ১৯৪৭ সালে চেকোশ্লাভাকিয়ায়২৬ বছর ধরে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করছেনলিখেছেন  বহু মূল্যবান প্রবন্ধ ও বই২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন  প্রাগ হোমিওপ্যাথি কাডেমির পরিচালকটোপ্যাথি নামে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি বিশেষ হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা পদ্ধতি।]