মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

কবিতা গাজী সাইফুল ইসলাম

Poems by Gazi Saiful Islam 

কেবল তোমাকে ভালোবাসি 


কেবল তোমাকে ভালোবাসি 

নির্ভয়ে নির্ভরতা পাশে আবদ্ধ রয়েছি তাই।

আমার ভালোবাসার নিঃশঙ্ক আলো 

অন্ধকারে তোমায় ফলো কর হররোজ।

আমার ভালোবাসার শান-শওকত

বিত্ত বৈভব, ঐশিক বিস্তৃতি

এত ব্যাপক যে, বৈশ্বিক কিছুতে

রাখতে পারি না তাকে।

তুমি তো মহা আয়তাকার

তুমি তো মহা বিস্ময়, সকল আলোর উৎসমুখ

ঔজ্জ্বল্যের তীক্ষ্ণতায় অশেষ 

জুড়ি মেলে শুধু তোমার সঙ্গে 

তোমার অন্তহীন অসীম বিস্তৃতির সঙ্গে 

কূলহীন কূলের সঙ্গে 

অতলান্ত তলের সঙ্গে।

কিন্তু দেখো, কত ক্ষেপাটে ভাবনা আমার

খেয়ালে কিংবা খেয়ালহীনতায়

ঘুমন্ত কিংবা জাগরণে হরহামেশা 

নিজেকে আমি তোমার ভালোবাসার যোগ্য করে তুলেছি,

নিরন্তর নির্ভরতার প্রতীক তুমি

আমি তোমাতেই কেবল ঠাঁই পেতে পারি।

আসলে তোমাকে সজ্ঞায়িত করা

তোমার পক্ষেই কেবল সম্ভব।

তোমার বর্ণনা কেবল তুমিই 

যেমনটি ইচ্ছে করতে পারো।

যেমন করেছ সুরা আল এখলাসে:

বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,

আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,

তিনি কাউকে জন্ম দেননি 

এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি

এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

কী সাধ্য আমার নিজে থেকে ডেকে না নিলে

তোমার নিকটে পৌঁছুই।

কী সাধ্য আমার, অনুমতি না দিলে

ভালোবাসতে পারি-অধম জোনাকি সমান

যদি পুড়ে ছাই হয়ে যাই অকস্মাৎ?


মেঘনার জন্য

(সেলিম সাইফুলকে)

সামনে মেঘলা তিথির বন্দর 

স্বাগতম, হাঁটো দৃঢ় শান্ত পায়ে

পেছনে আসছি আমরা ক'জন

সোনা খচিত ময়ূরপঙ্খী নায়ে।

যাও, গিয়ে স্থিত হও তার ধ্যানে

প্রেম যমুনা তীরের ওই ঘাসে

ঠিক যেখানে ঘুমিয়ে মমতাজ

জগৎ নন্দিনি, তার বুকপাশে।

মেঘ পসরায় সাজিয়ে বাসর

মন বৃন্দাবন মাতছে পবনে

আশার জোনাকি রাতের খেয়ায়

হাসছে কেমন কদমকেয়ার বনে।


গাসাই 

১৮/০৬/২২


গান

সবাইকে সব কথা বলতে নেই

জানাতে নেই সমবেদনা

তাতে দুঃখ বাড়ে কাতরতা বাড়ে

সবার প্রাণ দুঃখ সহে না।।

পড়ন্ত বেলার এক গাঙচিল

কষ্ট নিয়ে যাচ্ছি ফিরে

কুড়িয়ে নিচ্ছি ঝিনুক পাথর

তুমি দেখছ দাঁড়িয়ে তীরে।

পরিচয় মুছে গেছে লোনাপানিতে

বুকে গুমরে মরে বিরহের কান্না।।

যেসব গান হয়েছে সমাপ্ত

ধলাইয়ের তীরে 

সে সবের গুনগুনানি এখনও চলে

শ্রান্ত পাখিদের ভিড়ে।

কষ্ট নিও না স্পষ্ট কথায়

তোমায় খোঁজা আমার কাজ না।।

গাসাই 

শুক্রবার: চিন্তাস্রোত

যিনি জানেন বাতাসের বয়নকৌশল

(1)

নিৎশের কথায় একদমই কান দিও না।

তার পুরো বকবকানি জুড়ে রয়েছে-স্ববিরোধীতা।

পয়গম্বর হওয়ার খায়েস ছিল তার

নাস্তিকদের পয়গম্বর। কিন্তু বিশ্বাসীর

প্রবল, শানিত শক্তির নিকট 

হার মানতেই হলো তাকে।

জরথুস্ত্র বললেন: ঈশ্বর মৃত 

কিন্তু কোনো প্রমাণ দিলেন না।

তিনি কি ঈশার মৃত্যুকে(সা.) মিন করেছিলেন?

জরথুস্ত্রীয় এ ধারণা বিশ্ববাজারে বিকোলো প্রচুর

কিন্তু মন থেকে কেউ গ্রহণ করল না।

জ্ঞানী লোকেরা হাঁটলো 

তাদের বিশ্বাস বরাবর দিকচক্রবালের দিকে

দেখলো অবিশ্বাসের পথ অশেষ, অর্থহীন।

এরপর তারা ঘুরে দাঁড়ালো মহাসমুদ্রের দিকে

চিনতে চাইলো ভাসমান ফেনাকে

বাতাসের ছন্নছাড়া মেঘকে

পরক্ষণেই দেখলো, সে সব হারিয়ে গেছে 

নোঙ্গর-বন্দরহীন অসীম শূন্যতায়।

ইতোমধ্যেই বিজ্ঞান জানালো:

"নিরঙ্কুশ শূন্যতা বলে কিছু নেই।"

তারা সেই জ্ঞান গ্রহণ করলো, বুঝলো

আকাশের যিনি ধারক, 

যিনি জানেন বাতাসের বয়নকৌশল

তারই সামনে নতজানু হওয়ার বিকল্প নেই।

তারা দৃঢ়তর শপথে ঐক্যবদ্ধ হলো।

আল কোরানও পূর্বেই জানিয়েছিল:

তোমাদের প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন

আর আমার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।


বালিয়ার মোড় 

১৭-০৬-২২

একলা


জীবনের দৌড়ে সকলেই একা সেই জন্ম থেকে...

কিছুদিন থাকে সোহাগ আদরে

এরপর সবকিছুতেই ভাটা

শুরু হয় হারজিতের একলা দৌড়

সবাই জন্মে না সোনার চামচ মুখে নিয়ে

কারো যৌবনের দিনগুলো বড় রূঢ় হয়

আসমানে থাকে কপালপোড়া রোদ্দুর 

নদীতে কুমির, ডাঙ্গায় শোষক সুশীল 

যুদ্ধ থামে না একলা জীবনে।

জীবনের দৌড়ে সকলেই একা, প্রকৃতই একা মাঝখানে জুটে কিছু সঙ্গী সাথী।

কত রকমের শিকল মানব পায়ে 

জ্ঞানের-প্রেমের, সাহিত্য-দর্শনের,  মায়া-মাতৃত্বের, বন্ধু-বন্ধুত্বের

অতসব শিকল এগোতে দেয় না কাউকে

অথচ দিনের শেষে সবাই পৌঁছতে চায় গন্তব্যে।


গাজী সাইফুল ইসলাম 

বালিয়ার মোড়, ফুলপুর

ময়মনসিংহ।

+৮৮০১৬২৮৩২৪২৩৫।


রওশন

একজন নারী, না-না একজন মানবী।

একটা শুভ্রতা। সবকিছুর ওপর তার আলো

সেই আলো দূর থেকেও আমি দেখতে পাই।

পান-সুপারির রসে রাঙা

নিদাগ হাসিটা তার এখনও আমার ভেতরে

জ্বলমলে। আটাশ বছর আগে তরুণ আবেগে

আমি কি ভুল দেখেছিলাম?

এখন এই চট্টগ্রাম বিস্ফোরণের পর

তার ভেতরের বিস্ফোরণটাও আমি দেখতে পাচ্ছি।

কতটা দগ্ধিভূত ও বিপর্যস্ত।

এ কালে, নাকি সর্বকালেই মানুষের প্রাপ্তি, শূন্য।

জানি, হঠাৎই শেকড়-বাকলহীন হয়ে যেতে পারে যে কেউ

বিশ্ব জুড়ে দেশে দেশে বাস্তুহারারা এ সত্য জানে

ফিলিস্তিনিরা জেনেছে এক শতাব্দী আগে

রোহিঙ্গা ও ইউক্রেনিরা জেনেছে সম্প্রতি।

রওশন এসবের কিচ্ছু জানতো না

রাজনীতির কূটনীতি  বাজারদরের ওঠানামা

এসব জানার তার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

ছোট্ট সংসার সবকিছু ছিল

গাছের শীতল ছায়া, আলো-বাতাসের ঝলকানি

নদীর কল্লোল, তার প্রয়োজন ছিল না সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে

কিন্তু একেবার অকস্মাৎ কল্পনার বাইরে

শক্তি নিয়ে নিজেরই রান্নাঘর

হাঁড়ি-পাতিলগুলো বিদ্রোহ করে বসলো

পুঁটি-দারকিনাগুলো অকল্পনীয় ধাক্কায় ভেঙে ফেললো পুরনো চুল্লিটা তার। 

চল্লিশ বছরের অভ্যস্ত জীবনে রওশন দেখল

চট্টগ্রামের আগুন তার ঘরে

তিনি ছিটকে পড়লেন-সংসার থেকে 

জীবনের মায়া নয়

সংসারের মায়ায়, বুকের ভেতরে যে ধড়ফড়ানি

তাকে দমাতে চেষ্টা আপ্রাণ 

রওশন জানে, অন্ধকারে পথ হারানো 

তাকে মানাবে না, তাকে হাঁটতে হবে

সামনে আরও অনেক পথ রয়েছে বাকি .....


গাসাই

০৮/০৬/২২

বালিয়ার মোড় 

১৭-০৬-২২




বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

Neurological Homeopathic medicines

Which homeopathy medicine is best for nervous system?

Gelsemium is the best homeopathic medicine for motor paralysis which acts quickly on the nervous system when there is trembling, dizziness, drowsiness etc. Oxalic acid is a very effective medicine for cerebral and posterior sclerosis of the spine along with shooting or jerking pain in different parts of the body.
Can homeopathy cure nerve weakness?
Nervous Weakness is a disorder wherein the nerves of a person in some parts of the body become week. Homeopathy has the best treatment for Nervous Weakness and Doctor Bhargava formulations are a result of techniques perfected over 100 years of practice.

NEUROLOGICAL AILMENTS


Neurological disorders or neurological ailments are certain conditions or problems of the brain, spine and nerves along with the disorders associated with the overall central nervous system. The neurological ailments can become extremely severe at times which might result in the creation of severe problems for the affected individuals. To know the names of the most common neurological disorders or ailments read through.

  • Alzheimer’s disease
  • Brain tumour
  • Cerebral palsy
  • Concussion
  • Dementia
  • Disc disease of lower back or neck
  • Epilepsy
  • Migraine
  • Multiple sclerosis
  • Neuralgia
  • Parkinson’s disease
  • Stroke 
  • Psychiatric conditions like obsessive compulsive disorder, severe depression
  • Seizures
  • Injury of the spinal cord
  • Homeopath IOC  treatment to the different types of neurological ailments aims at providing a deeper cure so that the affected individuals can lead a normal life as much as possible. This is exactly what is done at Amrita Homeopathy so that the individuals affected with neurological disorders are able to manage the symptoms effectively.

    Causes of Neurological Ailments

    The brain and the spinal cord are protected with several membranes which are insulating in nature. Now these membranes are vulnerable to pressure as well as forc

    • Causes related to the lifestyle of the individual
    • Various types of infections can result in neurological ailments
    • Genetics plays a vital role in causing these neurological ailments
    • Some nutrition related conditions such as deficiency of a vital nutrient, vitamin etc. can result in a neurological disorder
    • External factors and environmental conditions or influences also contribute to the neurological ailments
    • Physical injuries might result in causing numerous neurological disorders

    Homeopathic Treatment

    Amrita homeopathy devises a proper and effective treatment plan for the treatment of the individuals affected with any neurological disorders or ailments so that positive as well as satisfactory results are obtained. Certain homeopathic medicines used for the treatment of different types of neurological ailments are as mentioned below.

    • Causticum is an extremely effective solution for multiple sclerosis and is also helpful in chronic paralytic infections.
    • Gelsemium is the best homeopathic medicine for motor paralysis which acts quickly on the nervous system when there is trembling, dizziness, drowsiness etc.
    • Oxalic acid is a very effective medicine for cerebral and posterior sclerosis of the spine along with shooting or jerking pain in different parts of the body.
    • Phosphorus acts as a great remedy for atrophy as well as softening of the brain or the spinal cord.
    • Kalium bromatum is suited for neurological ailments arising from extremely grievous situations.
    • Aconite is used for ailments arising out of some sudden shock.

    Few Statistics

    According to the reports of the World Health Organisation, several types of neurological disorders affect huge number of people from all around the world. This includes 24 million people suffering from Alzheimer’s disease and about 326 million people experience Migrain. As per the University of California, there are about a total of more than 600 neurological disorders or ailments which exists.

  • The peripheral nerves are the ones that are located quite deep under the skin are also vulnerable to damage. Thus, any damage to these membranes, nerves, brain or the spinal cord can result in a neurological disorder. These ailments can result in affecting the full neurological pathway or only a single neuron. Only a very small disturbance in the structural pathway of the neuron can result in its malfunctioning. Some of the important causes of neurological ailments are as follows.

Authored by Dr. Sanjoy Panicker



মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

Silica/Silesia/Silicea কীভাবে গলার কাটা দূর করে


হোমিওপ্যাথি সাইলেসিয়া ওষুধটি 
কীভাবে গলার কাটা দূর করে?

ডা. গাজী সাইফুল ইসলাম

হোমিওপ্যাথি সিলিকা ওষুধটি কীভাবে গলার কাটা দূর করে?

ফেবুতে আমাদের বন্ধু ফায়েক এনাম প্রশ্নটি তুলেছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এমন বিষয়ের আলোচনা-পর্যালোচনা হওয়া জরুরি। এতে নতুনদের জানার পরিধি যেমন বাড়ে হোমিওপ্যাথি বিরোধীদেরর সব না হলে কিছু প্রশ্নর উত্তর অন্তত দেওয়া যায়। আলোচনা কারণে ইতোমধ্যে সবাই জেনে গেছেন চারটি ওষুধ এ ক্ষেত্রে কাজ করে। সাইলেসিয়া(সাইলিশিয়া), হাইপেরিকাম, অ্যানাগেলিস প্রধান। সাইলেসিয়ার অবর্তমানে (লক্ষণ মিললে) হিপার সালফারও প্রয়োগ করা যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো: এসব ওষুধ শুধু কীভাবে গলার কাটা দূর করে? উত্তর: না, শরীর যন্ত্রের যেকোনো স্থানের কাটা দূর/বের করে। যাহোক আমাদের আলোচ্য প্রশ্ন হলো: সাইলেসিয়া বা সিলিকা (Silica/Silesia/Silicea) ওষুধটি কীভাবে গলার কাটা দূর করে? Fayek Enam নিজেই একটি উত্তর দিয়েছেন: ’’সাইলিশিয়ার পূঁজ তৈরি করার ক্ষমতা আছে। গলায় কাটা বিঁধে থাকলে সাইলিশিয়া প্রয়োগ করলে কাঁটা বিদ্ধ স্থানে পূঁজ তৈরি হয়। ফলে কাঁটা গেঁথে থাকা স্থানটি লুজ হয়ে কাঁটা ঐ স্থান থেকে বের হয়ে যায়।
হিপার সালফারেরও পূঁজ তৈরি করার ক্ষমতা আছে। ফলে গলায় কাঁটা বিধলে হিপার প্রয়োগ করলে কাঁটা বিদ্ধ স্থানে পূঁজ তৈরি হয়। ফলে কাঁটা বিদ্ধ স্থান থেকে নড়বড়ে হয়ে ছুটে যায়।’’

ডা. এনামের উত্তরটি নিয়ে অনেকেই যেমন আপত্তি তুলেছেন অনেকেই আবার উত্তরও দিয়েছেন। যেমন DrRumi Akram একটি সুন্দর উত্তর দিয়েছেন: ‘‘এগুলো পেশীতে বা কোষের মধ্যে রিফ্ল্যাক্স গতি ( বা বহির্মমুখী গতি) তৈরি করে এবং ফরেন বড়ি ঠেলে বের ক দেয়।
এখানে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে যে, কাটা সরানোর জন্য সিলিকা গলায় পূঁজ তৈরি করে কি-না। না হলে সিলিকা কাজটি করে কীভাবে?
এখানে প্রথমেজানিয়ে রাখা দরকার যে, কাঁটা সরানোর জন্য সিলিকা সবসময় রোগীর গলায় পূঁজ তৈরি করে না। করার প্রয়োজনও হয় না। তার হিলিং পাওয়ার দু’ধরনের। পূঁজ তৈরি করে আরোগ্য এবং পূঁজ তৈরি না করে আরোগ্য। ক্ষেত্র বিশেষ পূঁজ তৈরি করাটা রোগীর জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
আরও কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, কতদিন আগের কাঁটা? তার কথা অনুযায়ী যদি পূঁজ হয়, তাহলে একদিন আগে যে কাটা ফুটেছে সেটার জন্যও হতে পারে। আবার কোনো কোনো রোগীর কাঁটা এত সূক্ষ্ম থাকে যে, ক্ষণে কাঁটা অনুভূত হয় ক্ষণে হয় না। এমন ক্ষেত্রে রোগী নিশ্চিন্ত থাকে না কাঁটা লেগেছে কি-না। তখন কী হবে?
আমি আমার রোগীদে প্রায়শই একটা কথা বলি: এ ওষুধগুলো যেমন (হিপার, সিলিকা...) অত্যন্ত লজিক্যাল। প্রয়োজন বোঝে কাজ করে। ডাক্তারের প্রয়োগে বড় ধরনের ভুল না হলে ওষুধ রোগীর জন্য যুক্তিশীল কাজটিই করে। যেখানে পুজ উৎপত্তির অবস্থা তৈরি হয়েছে(অর্থাৎ নফেকশ আছে) সেখানে বেশি করে পূঁজ তৈরি করে, আর যেখানে পূঁজের প্রয়োজন নে, সেখানে এমনিতেসুস্থ করে দেয়। Uttam Dawnযেমন বলেছেন: ‘‘আমি তো বহুবার কেবল মাত্র সাইলেসিয়া প্রয়োগ করে ভালো ফল পেয়েছি। কখনো পূঁজ হতে দেখিনি।’’ কারণ কাঁটার স্থানটিতে পূজ হবার উপক্রম হয়নি। কাটা থাকার কারণে সামান্য গুটলির সৃষ্টি হয়েছিল মাত্র যা সাইলেসিয়া প্রয়োগে দূর হয়ে জায়গা সমান/মসৃণ হয়ে গেছে। ফলে কাঁটা বের হয়ে গেছে। কাছাকাছি কিংবা একইরকম কিছু ঘটনা ঘটে পিত্তথলির পাথরে চিলিড, কার্ডু, ক্যালকে, চায়না, সলিডাগো, কলেস্টরিনাম ইত্যাদি প্রয়োগের ফলে। কিডনির ক্ষেত্রে বার্বেরিস ভল, কলেস্টরিনাম ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে। কিংবা কন্সস্টিটিউশনাল অন্যান্য মেডিসিন ব্যবাহারের ফলে। এসব ছাড়াও এ প্রশ্নের আরও উত্তর আছে। হোমিওপ্যাথির ফিলোসফিতে ফিরতে হবে। হোমিওপ্যাথি কীভাবে রোগী আরোগ্য করে?
১। (কাঁটার ক্ষেত্রে) কাঁটার কারণে সৃষ্ট অসুস্থতা থেকে উদ্ধার করার জন্য দেহযন্ত্রে প্রযুক্ত ওষুধ রোগীর ক্ষতিগ্রস্থ জীবনী শক্তিকে পুনরুদ্ধার করে। ফলে জীবনী শক্তিই তার অমোঘ ক্ষমতা বলে কাটাকে সরিয়ে দেয়।  আর এমন র‌্যাশনাল হিলিং পাওয়ারের জন্যহোমিওপ্যাথির এত সাফল্য। বিরোধীরা এ বিষয়টা বুঝতে পারে না বলে হোমিওপ্যাথিসমালোচনা করে। হোমিওপ্যাথিকে অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দেয়। আমি নিজে যদি জীবনের শুরুতে পর্যাপ্ত হোমিওপ্যাথিক ফলাফল দেখতে না পেতাম নিশ্চয়এ পথে পা বাড়াতাম না। পা বাড়াতেন না রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, মহাত্মা গান্ধী।
হাপেরিকামের ত্বকের কাঁটা সরানোর প্রক্রিয়া আমি নিজে যতটুকু পরীক্ষা করেছি। আমার হাতের আঙুলে তালু অংশে একটি বড়কাঁটা ফুটার পর আমি সেটিকে ওখান থেকে বের করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বের না করে দু’ তিন ডোজ হাপেরিকাম 200 খেলাম। আর অপেক্ষা করলাম। ঘণ্টায় খেয়াল রাখলাম পরিবর্তনগুলো। দেখলাম ভেতরে ছোট হতে হতে কোথায় মিলিয়ে গেল। আমি সিদ্ধান্ত নে, কাঁটা ও ত্বকের মাঝে কিছু একটা বিস্ময়কর প্রক্রিয়া ঘটে। হয়তো এতে কাঁটা গলে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। কিংবা বেরিয়ে যায়। থুজা যেমন ওয়ার্টস দূর করে দেয়।
কাঁটার গলে যাওয়া নিয়ে বিরোধীরা বলেন: ‘‘সাইলেসিয়া ২০০ খেলে শোনা যায় গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা গলে যায়। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষ সাইলেসিয়া ২০০ ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষণের উদ্দেশ্যে কাঁচের প্লেটে সাইলেসিয়া ২০০ নিয়ে তাতে দিনের পর দিন মাছের একটা ছোট্ট কাঁটা ডুবিয়ে রেখে দেখেছিলেন- কাঁটা যেমনকে তেমনই রইল!’’ আজ আমি সে আলোচনায় যাব না।
আমি আলোচনাটি আর দীর্ঘয়িত না করে হোমিওপ্যাথি ওষুধে যাদের অবিশ্বাস তাদের সঙ্গে তর্ক লিপ্ত একটি হাই থট ছেলের বক্তব্য এখানে তুলে ধরছিআপনারা জানেন, বিরোধীরা হোমিওপ্যাথির সূক্ষ্মমাত্রা নিয়ে বরাবরই আঙুল তুল আসছেন। আমাদের বেশিরভাগ হোমিওপ্যাথের দুর্ভাগ্য আমরা তাদের ধারে কাছে যাই না। তাদের লেখা বা চিন্তাগুলো পড়ার যোগ্যতা নেই বা অর্জন করার চেষ্টা করি না।
আমি Muhammad Talut এর একটি তর্কমূলক মন্তব্য এখানে হুবহু তুলে ধরছি। আর ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি না চেনা, না জানা বন্ধু Muhammad Talut এর কাছে। তার অনুমতি ছাড়া লেখাটি এখানে হুবহু কোড করছি বলে:
আসলে হোমিওপ্যাথি কিভাবে কাজ করে তা জানার জন্য গবেষনার যে পদ্ধতি তা ভুল! আর এটা কিভাবে কাজ করে তা এর চিকিত্সকদের পক্ষে বোঝানো মুশকিল, কেননা তাদের আধুনি বিজ্ঞানে দুর খুব কম! তবে Nano-Technology নিয়ে পড়াশুনা করে আমি বুঝতে পারি এটা কাজ করতেও পারে, একেবারে অসম্ভব না! ধরুন Thuja 30 ওষুধের কথা ! এতে ৩০০ ভাগ alcohol এর সাথে এক ভাগ মূল নির্যাস আছে! এটা কিন্তু একেবারে কিছু নাইতা না! এক শিশি ওষুধে তাও কয়েক কোটি অনু পাওয়া যাবে! মাত্র ২ গ্রাম hydrogen কয়েক trillion অনু থাকে! আঁচিল বা wart এর চিকিত্সায় এটা আসলেই কার্যকর ! কিন্তু কিভাবে? সম্ভবত খুব সল্প পরিমান ওষুধের অনু আঁচিল এর আক্রান্ত কোষগুলো চিন্হিত করে সেগুলোতে nutrition transfer block করে ফেলে ! ফলে তা মরে শুকিয়ে ঝরে যায়! আমার মনে হয় এভাবেই cancer এর চিকিত্সাও সম্ভব হচ্ছে ! এটা কিন্তু nano কনসেপ্ট support করে! আসলে এই ওষুধে সাগর এর সমান জলে নির্যাস বা মূল উপাদান মেশানো হয়না যা discovery channel এ দেখানো হয়েছে! ওগুলো আসলে Pharmaceutical Company গুলার অপপ্রচার
Muhammad Talut 
ডিসেম্বর 10, 2009
প্রসঙ্গত একটি রোগিনীর অভিজ্ঞতা আমি এখানে তুলে ধরব:  আমার কাছে এক মহিলা রোগী এসেছিল বহু দূরের আরেক জেলা থেকে। তার গলার তালুর পেছনে কনিষ্ঠ আঙুল সমান মোটা হাফ ইঞ্চির মত লম্বা একটি মাংস পিণ্ড ঝুলছিল। গরীব মানুষ। এসেই আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল: ‘‘যদি পারেন, তাহলে চিকিৎসা করবেন, না হলে আমার সময় নষ্ট করবেন।’’ আমার সঙ্গে আরেকজন হোমিও ডাক্তার ছিলেন। সব দেখে, শুনে তিনি বললেন: ‘‘সাইফুল ভাই এ রোগী ছেড়ে দেন। ময়মনসিংহ চলে যাক।’’ কিন্তু আমি সাহস করলাম। বিশেষ করে বহু দূর থেকে আসার কারণে। গরীব মানুষ এত টাকাই বা কোথায় পাবে। এসব চিন্তা আমি মনে মনে করছিলাম।
১। রোগী কাটা লেগেছে কি না বলতে পারেন না।
২। গিলতে কষ্ট হয়। কিন্তু প্রবল (হিপারের মত) ব্যথা নেই।
৩। অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। শরীরে হালকা জ্বর থাকে।
রোগীর বাস্তবতা ও অবস্থার মূল্যায়ন:
১। লোকেরা রোগীকে ক্যান্সার হয়েছে বলে ভয় দেখিয়েছে। অনেক চিকিৎসক দেখিয়েছেন কিন্তু চিকিৎসা দিতে সাহস পায়নি। গলার মত সেনসেটিভ জায়গায় সমস্যা বিধায় চিকিৎসার জন্য সময় পাওয়া যাবে খবুই কম। অপারেশন করিয়ে নেওয়ার চিন্তা রোগীর মাথায় ঢুকে গেছে।
কচুর লতার মত হাফ ইঞ্চি মোটা মাংস পিণ্ডটা দেখে কেউ হয়তো কাটার চিন্তা করতেন না। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে আমি ধরেই নিলাম এতে সূক্ষ কাটা আছে। কাটার চিন্তা করলে কেউ হয়তো পাকানোর চিন্তা করে সিলিকাই দিতেন। কিন্তু গলা হওয়ায় আমি ঝুঁকি নিতে রাজি হলাম না। পুঁজ সৃষ্টি না করে শরীর যন্ত্রের কাটা সরানোর ক্ষেত্রে সমান শক্তিশালী ওষুধ হাইপেরিকাকে আমি স্মরণ করলাম এবং একই সঙ্গে আরেকটু দূরদর্শী হলাম।
থুজা ২০০ এর মাত্র ১ ডো খেতে দিলাম। ২০ নং হাফ ড্রাম বড়িতে মাত্র দুতিন ফোটা হাইপেরিকাম দিলাম। ছয় ঘণ্টা পর পর খাওয়ার জন্য। শক্ত খাবার বারণ করে দিলাম। আর গলার প্রদাহিত অবস্থা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হালকা গরম পানিতে ব্যবহারের জন্য ক্যালেন্ডুলা মাদার দিয়ে বললাম, দুই তিন ঘণ্টা পর পর গড়গড়া করার জন্য। সময় দিলাম তিন দিন। সেটা ছিল সোমবার। বললাম: উপকার পেলে শক্রবা সকালে এসে দেখিয়ে যেও। না হলে যেদিকে মন চায় চলে যেও।
এরপর যথারীতি রোগিনীটাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলাম। কিন্তু পারলাম না। ফলে হোমিওপ্যাথির বিভিন্ন বই-পুস্তকে ঢু মারতে থাকলাম। তার বিষয়টি নিয়ে পৃষ্ঠার পর নোট করলাম। কিন্তু শুক্রবার সকাল কেটে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পার হলো রোগিনীর দেখা নেই। ভাবলাম শহরেই চলে গেছে।  মাগরীবের আগে আগে রোগিনীর ফোন।  
-কাকা আমাকে আসতে হবে? তার মুখে হাসি।
-তুমি হাসছ যে, মানে উপকার হয়েছে?
-কাকা আমি তো প্রায় ভালো হয়ে গেছি।

-কী বলব? অবিশ্বাস্য। মনে মনে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম।



বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

চিকিৎসা বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

  হোমিওপ্যাথির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য
গাজী সাইফুল ইসলাম
Hippocrates

Hippocrates


চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস বহু প্রাচীন। যুগে যুগে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষ তার চিকিৎসার প্রয়োজনে বিভিন্ন প্যাথি যেমন কবিরাজী, আয়ুর্বেদিক, হেকিমি, ইউনানি, ঝাড়ফুঁক, জ্বিন-ভূত-ডাকিনি বিদ্যা, অ্যালোপ্যাথি, হ্যোমিওপ্যাথি ইত্যাদির জন্ম দিয়েছে।
প্রাচীনযুগ: খ্রিস্টের জন্মের বহু আগেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উদ্ভব হলেও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায় গ্রিকদেশীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানি হিপোক্রেটিসের সময় থেকে। তিনিই প্রথম তাঁর এবং তাঁর সময়ের আগের গ্রিক চিকিৎসা সম্পর্কে গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি অ্যালোপ্যাথি হোমিওপ্যাথি উভয় মতেই রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনিই প্রথম ঘোষণ করেন যে, রোগ দেব-দেবী আশীর্বাদ-অভিশাপ, বা পাপ-পূণ্য ইত্যাদি ফলোশ্রুতি নয়, রোগ হলো প্রাকৃতিক কারণ। তাঁর সময়ের চিকিৎসকদের প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও তিনি তাঁর ধারণায় অবিচল থাকেন এবং চিন্তা চিকিৎসাপদ্ধতিগুলো The Hippocratic Corpus নামক পুস্তকে লিপিবদ্ধ করেন। তিনিই প্রথম চিকিৎসকদের শপথনাম           (Hippocratic Oath) রচনা করে, যা পাঠের মধ্যদিয়ে আজও নতুন চিকিৎসকগণ তাদের চিকিৎসা জীবন শুরু করেন। জন্য তাঁকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। ওই সময় প্রাচীন মিসরেও চিকিৎসা বিদ্যার উৎকর্ষ সৃষ্টি হয়েছিল। হিপোক্রেটিস নিজেই মিসরীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বচোখে দেখার জন্য মিসর ভ্রমণ করেছিলেন। তৎকালের মিসরের যে সব মহান চিকিৎসক তাঁদের চিকিৎসাকর্মে বহুমুখী বহুবিস্তৃত সফলতা অর্জন করেছিলেন হেরোডোটাসের লেখা "The healthiest of all men, next to the Libyans " বইয়ে তাদের নাম পাওয়া যায়ু। প্রথমদিকের এমনই একজন দন্ত চিকিৎসকের নাম Hesy-Ra, যিনি খ্রিষ্টপূর্ব ২৭ শতকে রাজা Djoser পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। আরেকজনের নাম Peseshet, যাঁকে আমরা পৃথিবী প্রথম ‘‘নারী রোগ চিকিৎসক’’ চিহ্নিত করতে পারি। মিসরীয় ৪র্থ ডাইনেস্টির এই  চিকিৎসকের চিন্তার শিরোনাম "Lady Overseer of the Lady Physicians." ছাড়া ব্যাবিলন (বর্তমান ইরাক), চীন ভারত ওই সময় চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শিতা দেখিয়েছে এবং আধুনিকতার সূচনা করেছে। ভারতে হারবাল চিকিৎসার সূচনাও হয়েছিল সেই সময়েই। দ্য আথার্ভাভেদ বা অর্থ ভেদ ভারতের প্রথম ওষুধ বা চিকিৎসা বিষয়ক বই, ঋকভেদএর ত্রৈবিদ্যা থেকে সংকলিত হয়েছে। অর্থ ভেদ থেকেই হারবাল বা আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসার বেশিটা এসেছে। আয়ুর্বেদ শব্দের অর্থ: Ccomplete knowledge for long life. ভারত বরারবরই চিকিৎসা বিদ্যার উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রেখে এসেছে। ১৫৯৫ খ্রিস্টাব্দে মুসলমান শাসকগণ ভারতের হায়দারাবাদে প্রথম এবং ১৭১৯ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীতে দ্বিতীয় আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলেন।
মধ্যযুগ: মধ্যযুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উল্লেখ করার মত তেমন কোনো উন্নতি না হলেও ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কর্তৃক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রবর্তন ইউরোপে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বলা হয়ে থাকে যে, ইউরোপে হোমিওপ্যাথির জন্ম হয়েছে, আমেরিকা তাকে লালন করেছে আর ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। ১৮০০ শতকের শেষের দিকে নৃপতিশাসিত মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও কোথাও, বিশেষ করে, তুরষ্ক পারস্যে ইসলামিক ওষুধ চিকিৎসা চালু হয়েছিল।
আধুনিক যুগ: ১৯ শতাব্দিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটে যায়।  ইনফেকশনের কারণ হিসেবে আবিষ্কৃত হয় জার্মতত্ত্ব (The germ theory of disease)। আর বিশ শতাব্দিতে প্রবর্তিত হলো বায়োলজিক্যাল চিকিৎসা, আবিষ্কার হলো অ্যান্টিবায়োটিক। এরই সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হলো রসায়ন, জেনেটিকস ও প্রযুক্তি বিদ্যা (chemistry, genetics, and lab technology) এক্স-রে। ২১ শতক যাত্রা করল অত্যাধুনিক  কম্পিউটারাইজড ওষুধ ও প্রযুক্তবিদ্যা নিয়ে। তাই বলা যায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বর্তমান সফলতা যেমন অ্যালোপ্যাথির টেস্টটিউব বেবি, জমজ জোড়া লাগান সন্তার পৃথককরণ, হরমোনের বারসাম্যহীনতায় সৃষ্ট রোগীকে নারী থেকে পরুষ আর পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরকরণ, ক্যান্সারের ক্যামোথেরাপি আর হোমিওপ্যাথির ব্রেন টিউমার, ক্যান্সার চিকিৎসা সফলতা ইত্যাদি কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয়।
গাজী সাইফুল ইসলাম
gazisaiful@gmail.com
homeolifebd.blogspot.com
gazisaifulkotha.blogspot.com